গল্প:-ফেসবুক প্রেম অতঃপর বিয়ে
লেখক:-পরীর বর
আমাদের পরিচয় টা ছিলো ফেসবুকে,,পরিচয় টা ফেসবু্কে হলেও
আমাদের মাঝে ভালোবাসার কোন কমতি হয়নি
সে অনেক ভালোবাসে আমায়
আমিও তাকে মন প্রান দিয়ে ভালোবাসি
তার জন্য অপেক্ষা করছি আজ এত লেট করছে কেন মেয়েটা
ওতো আগে আগে কলেজে চলে আসে কিন্তু আজ হঠাৎ এতো লেট....খুব চিন্তা হচ্ছে
এইতো মহারানী চলে এসেছে,
-:-কি ব্যাপার? আজ এত লেট কেনো মহারাণীর?
-:-আরে আর বলো না রাস্তায় অনেক জ্যাম তাই লেট হয়ে গেলো,, SORRY
-:-it's ok
-:-চলো ক্লাসে যাই
-:-হুম চলো
ওফফফ আপনাদের কে তো পরিচয়ই দেয়া হলো না, আসলে খুব টেনশনে ছিলাম তো তাই পরিচয়টা দিতে ভুলে গেছিলাম।
আচ্ছা ক্লাসে যেতে যেতে পরিচয় টা দিই
আমি হলাম নীল এবার ইন্টার ফাস্ট ইয়ারে পড়ি
আর যার সাথে এতক্ষণ কথা হলো সে হলো পরী আমার সাথেই পড়ে,,,
ক্লাস এইটে থাকতে আমাদের পরিচয় হয় ফেসবুকে,,,,
পরী ওর বাবার একমাত্র মেয়ে
আর আমি আমার বাবার দুইমাত্র ছেলে☺☺
মানে হলো আমরা দুই ভাই এই আর কি
যাইহোক এবার গল্পে আসা যাক
আমরা ক্লাসে চলে আসলাম
ক্লাস শুরু হয়ে গেলো।
হঠাৎ খেয়াল করলাম পরী মুখ গম্ভির করে বসে আছে,,, বুঝতে বাকি রইলোনা যে মহারাণী কিছু একটা চিন্তা করছে,,,,,
ক্লাস শেষে বাইরে আসলাম দেখি পরী এখনো মুখটা গম্ভির।
ওর কাছে গেলাম, গিয়ে বললাম -:-কি ব্যাপার? মহারাণীর মনটা খারাপ কেনো?
-:- না এমনি
-:- এমনি কারো মন খারাপ থাকে নাকি?
-:- হুম আমার থাকে
-:- হুম জানি তো
-:- তুমি তো সবই জানো
-:- হুম
-:- হুম কি?
-:-কিছুনা
তারপর কিছুক্ষণ নিরবতা
হঠাৎ নিরবতা ভেঙে পরী বললো
-:-নীল একটা কথা বলি?
-:- হুম বলো
-:- বাবা যদি আমাদের সম্পর্ক মেনে না নেয়?(প্রায় কেদে কেদে)
-:- ওও তাহলে মহারাণী এতক্ষণ এটাই চিন্তা করছিলেন
-:-হুম
-:- একটা কথা বলি
-:-হুম বলো
-:- তোমার বাবা কে রাজি করানোর দ্বায়িত্ব টা আমি নিলে কেমন হয়?
-:- তুমি পারবে না নীল
-:-কেনো?
-:-কারণ বাবা লাভ ম্যারেজ লাইক করে না (কেদে কেদে)
-:- আরে বোকা মেয়ে কাঁদছো কেনো? (চোখের পানি মুছে দিতে দিতে) তুমি আমার উপর বিশ্বাস রাখো,, আমি ঠিক পারবো দেখো
-:- তাই যেনো হয়
-:- হুম হবে ইনশাআল্লাহ
তারপর ওকে বিদায় দিয়ে বাসায় চলে আসলাম, এসে খেয়ে একটা ঘুম দিলাম,,,, উঠে আসরের নামাজ পড়লাম
নামাজ পড়ে বন্ধুদের সাথে একটু আড্ডা দিয়ে মাগরিবের নামাজ পড়ে বাসায় চলে আসলাম
রাত ১০টা
ক্রিং ক্রিং ক্রিং
-:- হ্যালো
-:- কি করো?
-:- এইতো পড়ছি,, তুমি?
-:- আমিও
-:-ওহ
-:-হুম,,,,খাইছো
-:- না,,,, তুমি?
-:- খাওনি কেনো(কিছুটা রাগ দেখিয়ে)
-:- একটু পরে খাবো
-:- না এক্ষুনি যাও
-:- ওকে যাচ্ছি,,, তুমি খাইছো?
-:- না,,,,, তুমি খেলে পরে খাবো
-:- না,,না,, তা তো হবে না তুমিও এক্ষুনি খেতে যাও
-:- তুমি খেয়ে আসো পরে খাবো
-:- না,, তুমি না গেলে আমি খাবো না
-:- তোমার সাথে আর পারলাম না,,, ওকে যাচ্ছি,, তুমিও যাও
-:- ওকে যাচ্ছি,, বাই
-:-ওকে বাই
খেয়ে এসে কল দিলাম
-:- হ্যালো পরী?
-:-হুম,,, খাইছো?
-:- হুম,,, তুমি?
-:-হুম,,,আচ্ছা এখন রাখি আব্বু চলে আসবে
-:- ওকে,,, বেশি রাত জেগো না
-:-ওকে
-:-ওকে বাই
-:- গুড নাইট
-:-গুড নাইট
এভাবেই চলছিলো আমাদের দিনকাল
কয়েক বছর পর
ক্রিং ক্রিং ক্রিং
-:-হ্যালো পরী
-:- নীল তুমি আমার সাথে এক্ষুনি দেখা করো প্লিজ(প্রায় কেদে কেদে)
-:- কেনো?কি হয়েছে? আর তুমি কাঁদছো কেনো?
-:- আগে দেখা করো পরে সব বলছি
-:-ওকে,, আমি পার্কে ওয়েট করছি তুমি আসো
-:-ওকে,, আসছি বাই
এভাবে হঠাৎ দেখা করতে বললো ব্যাপার কি? আমার খুব চিন্তা হচ্ছে,,, ও কোনদিন এভাবে হঠাৎ করে দেখা করতে বলেনি,,,এসব ভাবছি এর মধ্যেই পরী চলে আসছে,,,,,
-:-কি ব্যাপার হঠাৎ দেখা করতে বললে যে?
-:-নীল বাবা আমার বিয়ে ঠিক করে ফেলছে(কেদে কেদে)
-:- তাহলে আর কি করার বিয়ে টা করেই ফেলো
-:- কি বলছো এসব? তোমার মাথা ঠিক আছে?
-:- হুম একদম ঠিক আছে
-:-মানে?
-:- মানে আবার কি? বিয়েটা করে ফেলো ব্যাসস
-:- নীল তুমি এ কথা বলছো আমি ভাবতেও পারছিনা
-:- এতে না ভাবতে পারার কি আছে?
-:- নীল প্লিজ ফান করো না,,,,, সিরিয়াসলি আমি তোমাকে ছারা থাকতে পারবো না (কেদেই ফেলছে)
-:- আরে এগুলা আবেগ,,, বিয়ে করলে দেখবা সব ঠিক হয়ে যাবে
-:- তার মানে তুমি আমাকে কোনদিন মন থেকে ভালোবাসনি?
-:- বাসি তো
-:- তাহলে এমন করে বলছো কেনো
-:- যা সত্যি তাই বললাম
-:- নীল প্লিজ,,,
-:- আরে বললাম তো বিয়ে করে ফেলো(একটু রাগের ভান করে)
-:- ওকে,,,, তুমার জীবন থেকে দুরে চলে যায় এটাই তো চাও তাই না?
অনেক দুরে চলে যাবো আর আসবো না তুমার সামনে
-:- সময় হলেই দেখা যাবে কে কার সামনে আসে
-:-মানে?
-:- মানে কিছুনা
-:- ওকে বাই,, ভালো থেকো,,,, আর একটা কথা মনে রেখো, হয়তো অন্য কারো সাথে আমার বিয়ে হয়ে যাবে কিন্তু তুমি ছারা অন্য কাওকে আমি স্ত্রীর অধিকার দিতে পারবোনা,,,, বাই ভাল থেকো
কাঁদতে কাঁদতে মেয়েটা চলে গেলো আর আমি বসে মুচকি মুচকি হাসছি
বুঝলেন না তো কেন হাসছি,,, সাথে থাকুন তাহলেই বুঝতে পারবেন
সামনের বৃহস্পতিবার আমার বিয়ে,,, বলতে বলতে বৃহস্পতিবার চলে আসলো, ,,,,,
পান্জাবি পাজামা পরে মুকুট মাথায় দিয়ে চললাম শ্বশুর বাড়ির দিকে😊😊
আজ আমার বিয়া ভাবতেই যানি কেমন লাগছে😇😇
যাইহোক সব শেষ করে বউকে নিয়ে বাড়িতে আসলাম
রাত ১২টা সবাই আমার রুমে আমি বাইরে একা একা বসে আছি,, কেও আমার খবরও নেয়না😭😭😭
সবাই নতুন বউকে নিয়ে পরে আছে
১২:৩০ মিনিটে নাজনিন(আমার খালাতো বোন) এসে ডাক দিলো
নীল ভাইয়া খালাম্মা তোমাকে ডাকছে
-:- আসতেছি
রুমে যেতেই আম্মা সবাইকে বললো,, যাও সবাই যার যার রুমে যাও,,,, সবাই চলে গেছে,,, রুমে আমি আর আমার বিয়ে করা বউ😍😍
সবাই চলে যাওয়ার পর আমি দরজা লাগিয়ে খাটে এসে বসলাম,, বউ অনেক বড় একটা ঘুমটা দিয়ে বসে আছে
যেই আমি ঘুমটা টা সরাতে গেলাম ও একটা ঝারি দিয়ে বললো
-:-খবরদার,, আমাকে টাচ করবেন না আমি আপনাকে স্বামি হিসেবে মানতে পারবো না আমি একজনকে ভালোবাসি (এক শ্বাসে কথা গুলো বললো)
আমি একটু মুচকি হাসি দিয়ে বললাম
-:- ও তাই নাকি? তো কে সেই মহান ব্যাক্তি জানতে পারি?
আমার গলার আওয়াজ শুনে আমার দিকে তাকিয়ে চমকে উঠলো,, বললো,, তুমি এখানে?
-:- কেনো অন্য কাওকে আশা করছিলে নাকি?
-:- না মানে........
-:- না মানে কি?
-:- আসলে আমি না কিছুই বুঝতে পারছি না
-:- এতো বুঝতে হবে না
আপনারাও নিশ্চয় কিছু বুঝতে পারছেন না,, ওকে বুঝিয়ে বলছি,,,, হ্যা যাকে বিয়ে করেছি সেই হলো আমার পরী,,,,,
অনেক কষ্টে আম্মাকে রাজী করিয়ে আব্বু কে দিয়ে পরীর বাবার কাছে প্রপোজাল পাঠালাম, ,,
পরীর বাবাও দ্বিমত করলেন না,,, কারণ ওনি আমাদের রিলেশনের কথা জানতেন না তাই ওনিও রাজি হয়ে গেলেন,,,,,,
-:- আচ্ছা আমাকে একটু বুঝিয়ে বলো তো কেস টা কি
-:- কেস কিছু না
-:- তুমি আব্বু কে রাজি করালে কিভাবে?
তারপর সব বললাম,, বলে শেষ করতে না করতেই,,,, দাপুস দুপুস
পিঠের মধ্যে বালিশ দিয়ে বারি দিতে লাগলো,,,,,,
-:- আরে লাগছে তো
-:- বারি দিচ্ছিই তো লাগার জন্য
-:- কিন্তু আমার অপরাধ?
-:- অপরাধ হলো আমাকে এভাবে কষ্ট দেওয়া,,
-:- ওহ SORRY SORRY ভুল হয়ে গেছে আর হবে না
-:- কানে ধরো
-:- না ধরলে হবে না?
-:- না হবে না
-:- এই বাসর রাতে এভাবে নির্যাতন করা টা ঠিক হচ্ছে না কিন্তু
-:- আমাকে কষ্ট দেওয়ার সময় মনে ছিলো না
-:- SORRY বললাম তো
-:-SORRY তে কাজ হবে না,, কানে ধরতে হবে
-:- ওকে এইযে কান ধরলাম🙉আর কষ্ট দিবো না
-:- এইতো আমার লক্ষি জামাই,,
-:- এহহহ এখন আদর দেখাতে আসছে
-:- আমার জামাই টা দেখি রাগ করছে,,, আসো আদর করে দেই সব রাগ চলে যাবে
-:- এহহ লাগবে না আদর
-:- কাছে আসতে বলছি,, আসবা? নাকি আমাকে উঠে আসতে হবে?
-:-..............................
আমি চুপ রইলাম আর কিছু বললাম না
হঠাৎ পরী খাট থেকে উঠে এসে আমার কলার ধরে বললো,, ভালো করে বলছিলাম কিন্তু তুই শুনলিনা, এবার তোকে জোর করেই আদর করবো এই বলে এক ধাক্কায় খাটে নিয়ে ফেললো,,,, আমি খাটে পরে যেতেই পরী আমার উপরে এসে আমার ঠোট আর ওর ঠোট চার ঠোট একসাথে মিশিয়ে দিলো..............বাকিটা ইতিহাস😊😊😊😊😊
সমাপ্ত
নতুন গল্প লিখি কেমন হয়েছে জানাবেন আপনাদের উৎসাহ পেলে সামনে আরো ভালো গল্প উপহার দিবো
আর টাইপিং এ কোন ভুল হলে সবাই ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন
লেখক:-পরীর বর
আমাদের পরিচয় টা ছিলো ফেসবুকে,,পরিচয় টা ফেসবু্কে হলেও
আমাদের মাঝে ভালোবাসার কোন কমতি হয়নি
সে অনেক ভালোবাসে আমায়
আমিও তাকে মন প্রান দিয়ে ভালোবাসি
তার জন্য অপেক্ষা করছি আজ এত লেট করছে কেন মেয়েটা
ওতো আগে আগে কলেজে চলে আসে কিন্তু আজ হঠাৎ এতো লেট....খুব চিন্তা হচ্ছে
এইতো মহারানী চলে এসেছে,
-:-কি ব্যাপার? আজ এত লেট কেনো মহারাণীর?
-:-আরে আর বলো না রাস্তায় অনেক জ্যাম তাই লেট হয়ে গেলো,, SORRY
-:-it's ok
-:-চলো ক্লাসে যাই
-:-হুম চলো
ওফফফ আপনাদের কে তো পরিচয়ই দেয়া হলো না, আসলে খুব টেনশনে ছিলাম তো তাই পরিচয়টা দিতে ভুলে গেছিলাম।
আচ্ছা ক্লাসে যেতে যেতে পরিচয় টা দিই
আমি হলাম নীল এবার ইন্টার ফাস্ট ইয়ারে পড়ি
আর যার সাথে এতক্ষণ কথা হলো সে হলো পরী আমার সাথেই পড়ে,,,
ক্লাস এইটে থাকতে আমাদের পরিচয় হয় ফেসবুকে,,,,
পরী ওর বাবার একমাত্র মেয়ে
আর আমি আমার বাবার দুইমাত্র ছেলে☺☺
মানে হলো আমরা দুই ভাই এই আর কি
যাইহোক এবার গল্পে আসা যাক
আমরা ক্লাসে চলে আসলাম
ক্লাস শুরু হয়ে গেলো।
হঠাৎ খেয়াল করলাম পরী মুখ গম্ভির করে বসে আছে,,, বুঝতে বাকি রইলোনা যে মহারাণী কিছু একটা চিন্তা করছে,,,,,
ক্লাস শেষে বাইরে আসলাম দেখি পরী এখনো মুখটা গম্ভির।
ওর কাছে গেলাম, গিয়ে বললাম -:-কি ব্যাপার? মহারাণীর মনটা খারাপ কেনো?
-:- না এমনি
-:- এমনি কারো মন খারাপ থাকে নাকি?
-:- হুম আমার থাকে
-:- হুম জানি তো
-:- তুমি তো সবই জানো
-:- হুম
-:- হুম কি?
-:-কিছুনা
তারপর কিছুক্ষণ নিরবতা
হঠাৎ নিরবতা ভেঙে পরী বললো
-:-নীল একটা কথা বলি?
-:- হুম বলো
-:- বাবা যদি আমাদের সম্পর্ক মেনে না নেয়?(প্রায় কেদে কেদে)
-:- ওও তাহলে মহারাণী এতক্ষণ এটাই চিন্তা করছিলেন
-:-হুম
-:- একটা কথা বলি
-:-হুম বলো
-:- তোমার বাবা কে রাজি করানোর দ্বায়িত্ব টা আমি নিলে কেমন হয়?
-:- তুমি পারবে না নীল
-:-কেনো?
-:-কারণ বাবা লাভ ম্যারেজ লাইক করে না (কেদে কেদে)
-:- আরে বোকা মেয়ে কাঁদছো কেনো? (চোখের পানি মুছে দিতে দিতে) তুমি আমার উপর বিশ্বাস রাখো,, আমি ঠিক পারবো দেখো
-:- তাই যেনো হয়
-:- হুম হবে ইনশাআল্লাহ
তারপর ওকে বিদায় দিয়ে বাসায় চলে আসলাম, এসে খেয়ে একটা ঘুম দিলাম,,,, উঠে আসরের নামাজ পড়লাম
নামাজ পড়ে বন্ধুদের সাথে একটু আড্ডা দিয়ে মাগরিবের নামাজ পড়ে বাসায় চলে আসলাম
রাত ১০টা
ক্রিং ক্রিং ক্রিং
-:- হ্যালো
-:- কি করো?
-:- এইতো পড়ছি,, তুমি?
-:- আমিও
-:-ওহ
-:-হুম,,,,খাইছো
-:- না,,,, তুমি?
-:- খাওনি কেনো(কিছুটা রাগ দেখিয়ে)
-:- একটু পরে খাবো
-:- না এক্ষুনি যাও
-:- ওকে যাচ্ছি,,, তুমি খাইছো?
-:- না,,,,, তুমি খেলে পরে খাবো
-:- না,,না,, তা তো হবে না তুমিও এক্ষুনি খেতে যাও
-:- তুমি খেয়ে আসো পরে খাবো
-:- না,, তুমি না গেলে আমি খাবো না
-:- তোমার সাথে আর পারলাম না,,, ওকে যাচ্ছি,, তুমিও যাও
-:- ওকে যাচ্ছি,, বাই
-:-ওকে বাই
খেয়ে এসে কল দিলাম
-:- হ্যালো পরী?
-:-হুম,,, খাইছো?
-:- হুম,,, তুমি?
-:-হুম,,,আচ্ছা এখন রাখি আব্বু চলে আসবে
-:- ওকে,,, বেশি রাত জেগো না
-:-ওকে
-:-ওকে বাই
-:- গুড নাইট
-:-গুড নাইট
এভাবেই চলছিলো আমাদের দিনকাল
কয়েক বছর পর
ক্রিং ক্রিং ক্রিং
-:-হ্যালো পরী
-:- নীল তুমি আমার সাথে এক্ষুনি দেখা করো প্লিজ(প্রায় কেদে কেদে)
-:- কেনো?কি হয়েছে? আর তুমি কাঁদছো কেনো?
-:- আগে দেখা করো পরে সব বলছি
-:-ওকে,, আমি পার্কে ওয়েট করছি তুমি আসো
-:-ওকে,, আসছি বাই
এভাবে হঠাৎ দেখা করতে বললো ব্যাপার কি? আমার খুব চিন্তা হচ্ছে,,, ও কোনদিন এভাবে হঠাৎ করে দেখা করতে বলেনি,,,এসব ভাবছি এর মধ্যেই পরী চলে আসছে,,,,,
-:-কি ব্যাপার হঠাৎ দেখা করতে বললে যে?
-:-নীল বাবা আমার বিয়ে ঠিক করে ফেলছে(কেদে কেদে)
-:- তাহলে আর কি করার বিয়ে টা করেই ফেলো
-:- কি বলছো এসব? তোমার মাথা ঠিক আছে?
-:- হুম একদম ঠিক আছে
-:-মানে?
-:- মানে আবার কি? বিয়েটা করে ফেলো ব্যাসস
-:- নীল তুমি এ কথা বলছো আমি ভাবতেও পারছিনা
-:- এতে না ভাবতে পারার কি আছে?
-:- নীল প্লিজ ফান করো না,,,,, সিরিয়াসলি আমি তোমাকে ছারা থাকতে পারবো না (কেদেই ফেলছে)
-:- আরে এগুলা আবেগ,,, বিয়ে করলে দেখবা সব ঠিক হয়ে যাবে
-:- তার মানে তুমি আমাকে কোনদিন মন থেকে ভালোবাসনি?
-:- বাসি তো
-:- তাহলে এমন করে বলছো কেনো
-:- যা সত্যি তাই বললাম
-:- নীল প্লিজ,,,
-:- আরে বললাম তো বিয়ে করে ফেলো(একটু রাগের ভান করে)
-:- ওকে,,,, তুমার জীবন থেকে দুরে চলে যায় এটাই তো চাও তাই না?
অনেক দুরে চলে যাবো আর আসবো না তুমার সামনে
-:- সময় হলেই দেখা যাবে কে কার সামনে আসে
-:-মানে?
-:- মানে কিছুনা
-:- ওকে বাই,, ভালো থেকো,,,, আর একটা কথা মনে রেখো, হয়তো অন্য কারো সাথে আমার বিয়ে হয়ে যাবে কিন্তু তুমি ছারা অন্য কাওকে আমি স্ত্রীর অধিকার দিতে পারবোনা,,,, বাই ভাল থেকো
কাঁদতে কাঁদতে মেয়েটা চলে গেলো আর আমি বসে মুচকি মুচকি হাসছি
বুঝলেন না তো কেন হাসছি,,, সাথে থাকুন তাহলেই বুঝতে পারবেন
সামনের বৃহস্পতিবার আমার বিয়ে,,, বলতে বলতে বৃহস্পতিবার চলে আসলো, ,,,,,
পান্জাবি পাজামা পরে মুকুট মাথায় দিয়ে চললাম শ্বশুর বাড়ির দিকে😊😊
আজ আমার বিয়া ভাবতেই যানি কেমন লাগছে😇😇
যাইহোক সব শেষ করে বউকে নিয়ে বাড়িতে আসলাম
রাত ১২টা সবাই আমার রুমে আমি বাইরে একা একা বসে আছি,, কেও আমার খবরও নেয়না😭😭😭
সবাই নতুন বউকে নিয়ে পরে আছে
১২:৩০ মিনিটে নাজনিন(আমার খালাতো বোন) এসে ডাক দিলো
নীল ভাইয়া খালাম্মা তোমাকে ডাকছে
-:- আসতেছি
রুমে যেতেই আম্মা সবাইকে বললো,, যাও সবাই যার যার রুমে যাও,,,, সবাই চলে গেছে,,, রুমে আমি আর আমার বিয়ে করা বউ😍😍
সবাই চলে যাওয়ার পর আমি দরজা লাগিয়ে খাটে এসে বসলাম,, বউ অনেক বড় একটা ঘুমটা দিয়ে বসে আছে
যেই আমি ঘুমটা টা সরাতে গেলাম ও একটা ঝারি দিয়ে বললো
-:-খবরদার,, আমাকে টাচ করবেন না আমি আপনাকে স্বামি হিসেবে মানতে পারবো না আমি একজনকে ভালোবাসি (এক শ্বাসে কথা গুলো বললো)
আমি একটু মুচকি হাসি দিয়ে বললাম
-:- ও তাই নাকি? তো কে সেই মহান ব্যাক্তি জানতে পারি?
আমার গলার আওয়াজ শুনে আমার দিকে তাকিয়ে চমকে উঠলো,, বললো,, তুমি এখানে?
-:- কেনো অন্য কাওকে আশা করছিলে নাকি?
-:- না মানে........
-:- না মানে কি?
-:- আসলে আমি না কিছুই বুঝতে পারছি না
-:- এতো বুঝতে হবে না
আপনারাও নিশ্চয় কিছু বুঝতে পারছেন না,, ওকে বুঝিয়ে বলছি,,,, হ্যা যাকে বিয়ে করেছি সেই হলো আমার পরী,,,,,
অনেক কষ্টে আম্মাকে রাজী করিয়ে আব্বু কে দিয়ে পরীর বাবার কাছে প্রপোজাল পাঠালাম, ,,
পরীর বাবাও দ্বিমত করলেন না,,, কারণ ওনি আমাদের রিলেশনের কথা জানতেন না তাই ওনিও রাজি হয়ে গেলেন,,,,,,
-:- আচ্ছা আমাকে একটু বুঝিয়ে বলো তো কেস টা কি
-:- কেস কিছু না
-:- তুমি আব্বু কে রাজি করালে কিভাবে?
তারপর সব বললাম,, বলে শেষ করতে না করতেই,,,, দাপুস দুপুস
পিঠের মধ্যে বালিশ দিয়ে বারি দিতে লাগলো,,,,,,
-:- আরে লাগছে তো
-:- বারি দিচ্ছিই তো লাগার জন্য
-:- কিন্তু আমার অপরাধ?
-:- অপরাধ হলো আমাকে এভাবে কষ্ট দেওয়া,,
-:- ওহ SORRY SORRY ভুল হয়ে গেছে আর হবে না
-:- কানে ধরো
-:- না ধরলে হবে না?
-:- না হবে না
-:- এই বাসর রাতে এভাবে নির্যাতন করা টা ঠিক হচ্ছে না কিন্তু
-:- আমাকে কষ্ট দেওয়ার সময় মনে ছিলো না
-:- SORRY বললাম তো
-:-SORRY তে কাজ হবে না,, কানে ধরতে হবে
-:- ওকে এইযে কান ধরলাম🙉আর কষ্ট দিবো না
-:- এইতো আমার লক্ষি জামাই,,
-:- এহহহ এখন আদর দেখাতে আসছে
-:- আমার জামাই টা দেখি রাগ করছে,,, আসো আদর করে দেই সব রাগ চলে যাবে
-:- এহহ লাগবে না আদর
-:- কাছে আসতে বলছি,, আসবা? নাকি আমাকে উঠে আসতে হবে?
-:-..............................
আমি চুপ রইলাম আর কিছু বললাম না
হঠাৎ পরী খাট থেকে উঠে এসে আমার কলার ধরে বললো,, ভালো করে বলছিলাম কিন্তু তুই শুনলিনা, এবার তোকে জোর করেই আদর করবো এই বলে এক ধাক্কায় খাটে নিয়ে ফেললো,,,, আমি খাটে পরে যেতেই পরী আমার উপরে এসে আমার ঠোট আর ওর ঠোট চার ঠোট একসাথে মিশিয়ে দিলো..............বাকিটা ইতিহাস😊😊😊😊😊
সমাপ্ত
নতুন গল্প লিখি কেমন হয়েছে জানাবেন আপনাদের উৎসাহ পেলে সামনে আরো ভালো গল্প উপহার দিবো
আর টাইপিং এ কোন ভুল হলে সবাই ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন
Comments
Post a Comment